কুমড়ো বড়ির সঠিক টেস্ট আপনি তখন ই পাবেন যখন আপনি সঠিক নিয়মে এটি রান্না করতে জানবেন। তাই কুমড়ো বড়ির সঠিক টেস্ট পাওয়ার জণ্য প্রথমে একটি ফ্রাইপেনে হালকা আচে তেল সহ বড়ি গুলো ভেজে নিবেন। এরপর সাধারনত যেভাবে তরকারি রান্না করা হয়, সেইম ভাবেই রান্না করে নিতে হবে। রান্না শেষ হওয়ার ১০/১৫ মিনিট আগে ভেজে রাখা সেই কুমড়ো বড়ি তরকারির উপরে রেখে ফ্রাইপেনের ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। ১৫ মিনিট পর রেডি আমাদের মজাদার কুমড়ো বড়ির তরকারি। আপনি বড়ির ভর্তা কিংবা ভুনা রেসিপি ও তৈরি করে নিতে। শিদল ভর্তার রেসিপি ১ টি শিদল বড় সাইজের একটি রসুন ৬/৭ টা কাঁচা মরিচ ২/৩ টা শুকনো মরিচ লবণ পরিমাণমত সরিসার তেল/সয়াবিন তেল ধনিয়াপাতা পছন্দ মত, নাও দিতে পারেন। আগুনে হালকা ছ্যাক দিয়ে, শিদলটি আস্ত ধুয়ে, ফুটন্ত গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে অন্য দিকে কড়াইতে তেল দিয়ে কাঁচা মরিচ, রসুন এবং শুকনো মরিচ তেলে ভেজে নিতে হবে, এবার ঐ তেলে ভিজিয়ে রাখা শিদল ভেঙে ভেঙে ভেজে নিতে হবে ঝুরঝুরে করে,দারুণ একটা ফ্লেভার আসবে। এবার ভাজা সব উপকরণ সাথে লবণ ধনিয়া পাতা একসাথে করে বাটনা,/পাটা পুতা/ব্লেন্ডারে ভর্তা করে সরিসার তেল মেখে,ভর্তা ঠান্ডা হলে গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।
ছাতুর উপকারিতা
এই গরমের মধ্যে ছাতু আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।ছাতু কিন্তু অনেক কিছুর সাথে মিক্সড করে খাওয়া যায়। যেমন ধরেন কাঁঠাল,আম, কলা, মৌসুমের ফলের সাথে ছাতু খেতে বেশ ভালো লাগে। আবার গরমের তৃষ্ণা মিটাতে ছাতুর শরবতও বেশ মজা। কর্মজীবী আপুদের জন্য তারও বেশি সুবিধা। সকালে একটা চটজলদি নাস্তা ও বানানো যায়। আমাদের মিক্সড ছাতুর উপকরণ হলো গম, যব, ভুট্টা, চাল, বাদাম, তিল,মুড়ি। ছাতুর উপকারিতা: শরীরের মেটাবলিজম বাড়িয়ে ওজন কমাতে অনেক সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিক ও ইমিউন সিস্টেমকে ঠিক রাখে এবং ব্লাড সিগার নিয়ন্ত্রণে রাখে। ত্বক ও চুলের জন্যেও ভাল কারন এটি খাওয়ার ফলে অক্সিজেনের পরিমান বেড়ে শরীরে এন্টিঅক্সিডেন্ট উৎপন্ন হয়। এটি সহজেই হজম হয়,শক্তি ও পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। মেয়েদের পিরিয়ডের সময় অনেকের শরীরে পুষ্টিকর ঘাটতি হয় ছাতু খেতে পারলে পুষ্টির অভাব দূর হয় কারন ছাতুতে প্রচুর পরিমানে খনিজ, ভিটামিন ও অন্যান্য উপাদান থাকে। ছাতু খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে, শরীরের জালা-পোড়া কমায়, ক্লান্তিভাব দূর করে, প্রচুর শক্তি পাওয়া যায় এবং শরীরের সাথে মস্তিস্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। সকালের বা বিকালে মিক্স ছাতু খেতে পারেন। প্রয়োজন মতো ছাতু বাটিতে নিয়ে পরিমানমত দুধ, চিনি/ গুঁড় বা যে কোন মৌসুমী ফল মিশিয়ে খেতে পারেন সবাই।
শিদল রান্নার রেসিপি
একসাথে অনেকগুলো শিদল রান্না রেসিপি দিয়ে দিলাম আপনাদের জন্য অথেন্টিক ওয়েতে উত্তরবঙ্গে শিদল রান্নার রেসিপি সিদল প্রথমে চুলায় পুড়ে নিতে হবে।এক্ষেত্রে চুলা না থাকলে গ্যাসের চুলার স্টান্ডের উপর রেখে উল্টে পাল্টে হালকা আঁচে পুড়ে নিতে হবে। পোড়ানোর পর হলকা গরম পানিতে ধুয়ে নিতে হবে, এরপর এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে যেন একটু নরম হয়। ভিজিয়ে রাখা শিদল একটু নরম হয়ে এলে, ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে অথবা শিল পাটায় বেটে নিতে হবে। মাছ আগেই আলাদা করে ভাপে রান্না করে কাটা ছড়িয়ে রাখতে হবে। এরপর একটি প্যানে তেল দিয়ে আদা বাটা, রসুন বাটা, কাচামরিচ বাটা,পেয়াজ বাটা, জিরা বাটা, গরম মশলা বাটা/গুড়া, ধনেগুড়া, লবন, হলুদ দিয়ে কষাতে হবে যতক্ষণ না মশলার একটি সুন্দর গন্ধ বের হয়, মশলা প্যানে লেগে এলে সামান্য পানি দিয়ে আবার নাড়তে হবে। মশলা কষানো হলে সিদলের পেষ্টটা প্যানে দিয়ে এবং তাতে একটু পানি দিয়ে কষাতে হবে। শিদল কিছুক্ষণ কষানোর পর আগে থেকে রেডি করে রাখা কাটা ছাড়ানো মাছগুলো দিয়ে আবার সামান্য পানি দিয়ে কষাতে হবে যেন পাতিলের তলায় লেগে না যায়। মিশ্রণটি কষানো হয়ে গেলে পরিমান মত পানি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। এরপর মিশ্রণটি আঁঠালো হয়ে এলে নেড়েচেড়ে উপরে সামান্য গরম মশলা গুড়া আথবা ধনেগুড়া ছিটিয়ে দিয়ে নামিয়ে নিতে হবে। এরপর গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন মজাদার শিদল। শিদল ভর্তা শিদল ভর্তা হিসেবেও খেতে অসাধারন লাগে। সেক্ষেত্রে শিদলটাকে পুড়ে বা ঝুরঝুরে করে ভেজে নিয়ে তাতে পিঁয়াজ কুচি , রসুনের কোয়া, সরিষা তেল এবং লবন দিয়ে শিলপাটায় পিষে গরম গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করা হয়। এছাড়াও শীতের সকালে ভাপা পিঠার সাথে সিদলের তরকারি উত্তরবঙ্গে খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার। লাউপাতায় পুড়িয়ে শিদল ভর্তা শিদল টা লাউ পাতায় মুড়িয়ে চুলায় পোড়াতে হবে। পুড়ানো হলে রসুনের কোয়া, শুকনা মরিচ তেলে টেলে নিতে হবে। এরপর পেয়াজ সহ সব উপকরণ বাটনাতে/ শিল পাটায় বেঁটে মুখরোচক ভর্তা তৈরি করা হয়। তারপর সরিষার তেলে মাখিয়ে পরিবেশন করা হয় গরম ভাতের সাথে। পোড়ানো ছাড়া শিদল ভর্তা শিদল পোড়ানোর ব্যবস্থা না থাকলে কড়াই এ তেল দিয়ে ঝুরঝুরে করে ভেজে নিতে হবে। এরপর শুকনো মরিচ, রসুনের কোয়া তেলে টেলে নিয়ে, পেয়াজ সহ সব উপকরণ পাটায় বাটতে হবে। তারপর সরিষার তেল মাখিয়ে পরিবেশন করতে হবে। টাকি মাছ দিয়ে শিদল রান্না প্রথমে কড়াইতে তেল দিয়ে শিদল ভেজে ঝুরঝুরে করতে হবে। তারপর মাছ সাধারণত যেভাবে রান্না করা হয় (পেয়াজ,আদা বাটা, রসুন বাটা, গরম মসলা গুড়া, মরিচ গুড়া, হলুদ, লবন, তেল) দিয়ে রান্না করে নিতে হবে। তারপর মাছ হওয়ার আগে শওদলের ঝুরি দিয়ে নাড়াচাড়া করতে হবে। কিছুক্ষণ কষানোর পর হালকা ধনেগুঁড়া ছড়িয়ে দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে। আমি কাজ করছি, উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী খাবার নিয়ে। ১০০% ভেজালমুক্ত খাবার পেটে এখনই অর্ডার করুন শিদল শপ পেজ এ।
উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী খাবার শিদলের পরিচিতি
শিদল বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী খাবার। যার নাম শিদল চলেন আজকে তার পরিচিত হই। শিদল তৈরিতে যা যা উপকরণ লাগে: ছোট মাছের বিভিন্ন প্রকার শুকনো শুটকি ও কচুর ডাটা দিয়ে তৈরি হয় সিদল। এছাড়া অন্যান্য উপকরণ হলো রসুন, মরিচ, সরিষার তেল,হলুদ আর এলাচ। শুটকির মধ্যে মলা, পুঁটি, ডাইর,চাদা,চোপড়া,ও টাকি মাছ মাছ,জাতীয় বিভিন্ন ধরনের ছোট মাছ ব্যবহৃত হয় শিদল তৈরিতে। তৈরির সময়: কড়া রোদ থাকলে বছরের যে কোন সময় সিদল তৈরি করা যায়। ফাল্গুন – চৈত্র মাসে বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকায় এসময় শিদল তৈরির জন্য ভাল। বছরের অন্যান্য সময়ে তৈরি করা শুটকি থেকে সারা বছরই খুব সহজেই শিদল তৈরি করা যায়। শিদল তৈরির পদ্ধতি: শুটকি গুড়া তৈরি: মচমচে শুটকি মাছ পাটা/হামান দিস্তা/ঢেঁকিতে খুব ভালো করে গুড়া করে নিতে হবে। শুটকি ভালোমত গুড়া না হলে প্রয়োজনে গুড়া করার আগে হালকা ভেজে নিতে হবে। শুটকির গুড়া চালুনিতে চেলে নিতে হবে। কচুর ডাটার মণ্ড পেস্ট তৈরি: কচুর ডাটা ধুয়ে ছিলে নিতে হবে। এক-দেড় ঘণ্টা রোদে রেখে পানি ঝড়িয়ে নিতে হবে। পানি ঝরানো হলে পাটা/হামান দিস্তা/ঢেঁকিতে ভালো ভাবে পিষে মিহি পেস্ট তৈরি করতে হবে। শুটকি ও কচুর ডাটার মণ্ড ও অন্যান্য উপকরণ মিশ্রণ: কচুর ডাটার মণ্ড পেস্ট ও শুটকির গুড়া ভালো করে মিশাতে এক সাথে পাটা/হামান দিস্তা/ঢেঁকিতে ভালো করে পিষতে হবে। প্রাপ্ত মণ্ডতে বাকি সব উপকরণ মিশিয়ে নিতে হবে। শিদলের আকৃতি ও শুকানো: হাতের তালুতে গোল করে চেপে শিদলের আকৃতি প্রদান করতে হবে। তৈরি সিদল চাটাই/কুলা/চালুনে রোদে দিতে হবে। শুকানোর প্রথম দিকে শিদলের উপরি ভাগ ফেটে গেলে প্রতিটা শিদল আলাদা আলাদা করে উঠিয়ে পুনরায় হাতের তালুতে গোল করে চেপে শিদলের আকৃতি দিয়ে রোদে শুকাতে হবে তা না হলে শিদল ফেটে যাবে। এভাবে ৭ থেকে ৮ দিন রোদে শুকালে শিদল সংরক্ষণের উপযোগী হবে। সংরক্ষণ পদ্ধতি: মুখবন্ধ পাত্রে সংরক্ষণ: শিদল রোদ থেকে এনে ঠাণ্ডা করে প্লাস্টিক/টিন/কাঁচের মুখবন্ধ পাত্রে সংরক্ষণ করা যায়। তবে মাঝে মাঝে বের করে রোদ দেয়া আবশ্যক। রোদে দেয়া সিদল পুনরায় ঠাণ্ডা করে মুখবন্ধ পাত্রে সংরক্ষণ করতে হবে। কিছু দিন পর পর রোদে দিলে সিদল দেড়-দুই বছর ভালো থাকে। রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ শুকনো সিদল প্লাস্টিকের কাগজে মুড়িয়ে প্লাস্টিকের বক্সে রেফ্রিজারেটরে রাখলে ৩ বছর পর্যন্ত ভালো থাকে। এ ক্ষেত্রেও মাঝে মাঝে রোদ দেবার প্রয়োজন রয়েছে। শিদল ভর্তার পদ্ধতি: শিদল একটি (৫০ গ্রাম), রসুন দুইটি. পেঁয়াজ মাঝারি চারটি, কাঁচামরিচ আটটি, লবণ পরিমাণ মতো, সরিষার তেল দুই চামচ। শিদল পুড়ে অথবা ঝরঝরে করে তাওয়ায় ভেজে নিতে হবে।সিদল নামিয়ে তাওয়ায় রসুন ও মরিচ ভেজে সব উপকরণ এক সঙ্গে শিলনোড়ায় বেটে নিন। এরপর বাটার সঙ্গে সরিষার তেল মেখে নিন। শিদল ভর্তা গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।